সভ্য না কাঁচালঙ্কা
-অভিজিৎ মণ্ডল
সুন্দর এই জীবনে ভরা কতনা রঙিন মধুমেলা
তাই দুঃখ কষ্টের অনুপমা নিয়ে করোনা গো কোনো খেলা।।
নই আমি নেতাজি সুভাষ,নই কাজী নজরুল
হতে পারিতো নেতাজির ডাক, নজরুলের রুদ্রবীনার কূল।।
তাই মরচে পড়া বারুদের ডেরাতে একটুকরো আগুন দিলাম–
বুঝে নিও আজ অন্য সুরে গাঁথা মালা পরাতে এসেছি তোমায়
আর ভেঙে চুরমার করে বলে যাচ্ছি মোর অন্তর্মলিন স্বপ্নকথা।।
আজি কোন তরুণ অশান্ত ভোরের দরজায় কড়া নাড়ে…
ওগো…. ওগো কেউ আছো
জিজ্ঞাসা করলাম কে তুমি?এতো ভোরের বেলায়!!
অস্থির কন্ঠে জবাব এলো-
আমি…..আমি স্বপ্ন
স্বপ্ন?কে তুমি? আগেতো কখনও দেখিনি তোমায়….
তখন বলছে সে—
আমি…. আমি ঐ যে ঐ ছোট্টো ভাই-বোনেদের আনমোনা কিছু বদমায়েশির পকেটভর্তি ক্যাবলামি।
আমি হলাম সুন্দর মনের সুন্দরতা
আর বিশ্লেষিত মনের কঠিন রূপ, বিকৃত ভাবনাচিন্তা।।
আমি যে হলাম তরুণ যুবক-যুবতীর আগামী ভবিষ্যত কল্পনা
আর গর্বিত বাবা-মায়েদের বৃদ্ধাশ্রমের ঠিকানা।।
আমি হই আবার নেশাগ্রস্ত যতসব পাগল মাতালদের রাতের অহেতুক বদমায়েশিক আনন্দের কারন
আর রাত্রি শেষে স্বামীর লাথি খাওয়া পোয়াতি মায়ের নিদারুণ কান্নার বারন।।
আবার কখনও বা ঐ যে মন্দিরের পাশে শুয়ে থাকা ভিক্ষারী মায়ের একমুঠো মুড়ির আশা
আবার কখনও বা কাঁচালঙ্কার গন্ধে মাখা পান্তা ভাতের ভাষা।।
আমি দেশদ্রোহী ঐ ভন্ড রাজনীতিবিদদের ভয়ংকর কূটনীতির খোরাক্
আবার আমি হলাম ঐ শহীদ হওয়া জোয়ানদের দেশের প্রতি শ্রদ্ধা ভক্তি ভালোবাসা ও সুন্দরতার চিরাগ।।
কখনও বা হই ঐ অনাহারী ফুটপাত বাসিদের আগামী দিনের একমুঠো খাওয়ার আশা
আবার এ.সি.তে বসা ব্যবসায়ীদের কোটি টাকার কনট্রাক্ট পাওয়ার লোভলালসা।।
কখনও বা আমি সত্যিকারের কিছু প্রেমীদের ভাবনা কিছু কথা কিছু ভালোবাসা
আবার কখনও বা মনভোলানো হিংস্র মানসিকতার কিছু কুকুরের ফন্দিরূপ ও নিরাশা।।
শেষে বলে উঠলো সে-
মরে গেছে নাকি এ দেশের রবিঠাকুর, প্রীতিলতা, সুকান্ত,লাল-বাল-পালের দল
নাকি চোখে দেখেও দেখতে পাচ্ছে না যতসব নোংরা বদমায়েশির আড্ডা।।
হুঁ… জানি আমি আজ প্রতিবাদের কোনো মূল্য নেই
ভালো মানুষকে দেখতে খারাপ, তাকে ভালোবাসা যায় না, তার কোনো স্থান নেই।।
তাই অনুরোধ রইল আমার—
সাহায্য করো, ভালোবাসো,বাসতে শেখাও
আসি গো আসি—
ও গাঁয়ে আমার যাওয়া যে দরকার খুব
আমায় ডাকছে যে ঐ শাল-পিয়ালের বনহাওয়া, কোকিলের গান,আর সূর্য মামার নির্মিলিত রূপ।।
Nice
Thank you re
Agia jao bandhu amar achi tomar pasa